প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রহরীর অভাবে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডিসি গার্ডেনে সবকিছু লুটপাট করেছে চোরের দল।
শুধু লোপাট-ই নয়, মাদকাসক্ত এবং অপরাধীদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এই ডিসি গার্ডেনটি। ২০১৬ সালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের নয়াচর এলাকার নির্জন স্থানে ১৭৭ শতাংশ সরকারি জমির উপর প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে এ রেস্ট হাউজটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
পরিকল্পিত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে গার্ডেনটি নির্মাণ করায় মাত্র ৭ বছরের মধ্যে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজের মানুষ।
রেস্ট হাউজটির শুধু দরজা-জানালা নয়, ভবনটির দেয়াল ভেঙে মূল্যবান সব লোহা, পানির ট্যাঙ্কি, পানির মোটর ও বাথরুমের কলসহ রেস্ট হাউজটির আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে গেছে চোরেরা।
এলাকাবাসী জানান, নির্মাণের পর থেকেই রেস্ট হাউজটি পরিত্যক্ত রয়েছে। এখানে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে আসতে দেখা যায়নি। এটি উপজেলা পরিষদ থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত। ঠিক কী কারণে এমন একটি রিমোট এরিয়ায় এ রেস্ট হাউজ করা হয়েছে- তা স্পষ্ট নয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াচরে চররমজান সোনাউল্লাহ মৌজায় ১ একর ৭৭ শতাংশ খাস জমিতে ২০১৬ সালে রেস্ট হাউজটি উদ্বোধন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা প্রধান অতিথি হিসেবে রেস্ট হাউজটি উদ্বোধন করেন। এটির সার্বিক তত্ত্ববধানে ছিল উপজেলা পরিষদ। তৎকালীন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাসের ভূঁইয়া এ রেস্ট হাউজটি বাস্তবায়ন করেছিলেন। প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে এ রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হয় বলে জানা গেছে।
জেলা পরিষদ এবং পর্যটন কর্পোরেশন এর অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীরা মাদকসেবীদের দিয়ে এই চুরি করিয়েছেন। এলাকায় অনেকে তাদের নাম জানলেও কেউ ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, আমি এখানে যোগদানের আগেই এ রেস্ট হাউজটির অধিকাংশ জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। রেস্ট হাউজের নিরাপত্তার দয়িত্বে কে ছিলেন এবং চুরির ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে।